কফি শপে আমার এক্স ও তার গফ by Sadia Afrin Laboni
কফি শপে গিয়ে দেখি আমার এক্স তার গফকে নিয়ে জমিয়ে প্রেম করছে।দেখে আবেগে কাঁদতে ইচ্ছা করছিল।একটা গানের লাইন খুব মনে পড়ছিল-"বন্ধু যখন গফ নিয়া আমার চোখের সামনে দিয়া কফি শপে বসে কফি খায় ফাইট্টা যায় বুকটা ফাইট্টা যায়"।
নাহ আমার কেন ফাটবে।আমি মমতাজ না আমি সাদিয়া।আমিতো ফাঁটাই।
চলে গেলাম বফের পাশের টেবিলে।আমাকে দেখে কিছুটা ইতস্তত বোধ করছিল তা দেখেই বুঝতে পেরেছি।দুজনের কথা শোনার চেষ্টা করলাম।কিন্তু কাজ হলো না এত আস্তে কথা কিভাবে কেউ বলে।আমারতো মাইক লাগে না কথা বলতে এত ভলিম।
চেয়ার নিয়ে এগুতে গিয়ে ধপাস করে নিচে পড়লাম।পড়বো না পড়বো এক্স এর গফের কাছে গিয়েই পড়েছি।সবে সে কফিতে চুমুক দিয়েছে।পুরো কফি এখন তার গাঁয়ে।
পড়ে গিয়ে ব্যাঁথার পাবার বদলে আমার খুব আনন্দ হচ্ছে।
আমি উপরে তাকাতেই দেখি মেহেদি অর্থাৎ আমার এক্স আমার দিকে পুরো অ্যাকশানে তাকিয়ে আছে।ভাবলাম হয়তো কিছু একটা বলবে কিন্তু ও আমাকে কিছু বললো না।গফের হাত ধরে চলে যেতে চাইলো কিন্তু গফ হাত ছাড়িয়ে নিয়ে আমার দিকে তেড়ে আসলো-
-চোখে দেখতে পান না?কোথা থেকে যে আসে এই সব খ্যাত।
-আপনি খ্যাত কাকে বলছেন? নিজেকে আয়নায় দেখেছেন?ম্যাকাপ আর্টিস্ট আপনাকে দেখলে লজ্জা পাবে।ওর মেকাপের আপনি যে এত বদ নাম করছেন।
-থামুন।বুঝেন এই সব। ম্যাকাপের ম তো জানেন না।
-আরে আপনি থামুন। আমি ন্যাচারাল।
দুজনের তুমুল ঝগড়া শুরু হলো।আশে পাশের লোক জন তাকিয়ে আছে।
শেষ পর্যায়ে চুল ছিঁড়াছিঁড়ি শুরু হয়ে গেল। আমাদের দুজনকে আশেপাশের লোকজন থামালো।আমি চুপ করে রাগে ফুলছি। এত কিছু হয়ে গেল। মেহেদি একটা কথা ও বলেনি।আমার হয়ে না বলুক ওই মেয়েটার হয়েতো বলা উচিত ছিল।আমার আর কিছু বলা লাগলো না।দেখি তার বর্তমান গফের সাথে শুরু হয়ে গেছে ঝগড়া।
-মেয়েটা আমাকে মাড়লো তুমি চুপ করে দেখলে?
-আমি কি করতাম বলো?মেয়েটা পড়ে গেছে আর তুমি....
-আমি কি.... বল আমি কি?
-....
-চুপ করে থাকবা না বলো....
চুপচাপ দাঁড়িয়ে দেখছিলাম। বেশ মজা লাগছে। মেয়েটা এবার এক কাপ কফি মেহেদির এর মুখে মারলো।
মেহেদি হা করে তাকিয়ে আছে। মেয়েটা হন হন করতে করতে চলে গেল।
আমার খুব জানতে ইচ্ছা করছে কফিটা গরম নাকি ঠান্ডা। আস্তে আস্তে মেহেদির কাছে গেলাম -
বলছি কফিটা গরম নাকি ঠান্ডা।
আমার দিকে রেগে আগুন হয়ে তাকিয়ে আছে মেহেদি। এবার ও এক কাপ কফি সোজা আমার মুখে মারলো।আবেগে চোখে পানি চলে এলো।
মেহেদি এবার হাসতে হাসতে বললো-বুঝতে পেরেছো কফিটা গরম নাকি ঠান্ডা।