ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ৯ম কনভোকেশন ২০২২ আর আমি

প্রায় দুইটি বছর পর যেন উৎসব ফিরে এসেছে প্রানের ক্যাম্পাসে। এত দিনে বদলে গেছে অনেক কিছু। সমাবর্তন অনুষ্ঠানটি উদযাপিত হয়েছে আর শিক্ষামন্ত্রী এসে এই দিনটাকে আরও সুন্দর করেছেন। হাজার হাজার শিক্ষার্থীরা বসেছিল সমাবর্তনের অপেক্ষাতে। অবশেষে সেই সুযোগ এলো, সবাই যেন প্রান ফিরে পেল। সারা বাংলাদেশ থেকে যে যেখানে ছিল আসার চেষ্টা করেছে এখানে। এছাড়া ঢাকা ও তার আশেপাশের অঞ্চলের জন্যে বিশেষ বাসের সুবিধা দিয়েছিল ভার্সিটি যার জন্যে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। সব থেকে ভালো লাগা হচ্ছে যখন ডিগ্রি প্রদানের ঘোষণা করা হয় সেই মুহূর্তটি অসাধারণ। 




দিনটি ছিল রবিবার। ২০২২ সালের কোন এক রবিবার। সেদিন খুব ভোরে উঠে আমি প্রস্তুতি নেই ক্যাম্পাসে যোগদানের। ঢাকা থেকে ভোর ৫টা কি ৬টায় বাস ছারে। অনেকগুলি বাস আর অনেক স্টুডেন্ট। সবাই খুব সুন্দর করে ভার্সিটিতে পৌছায় ৮টার ভেতর ভার্সিটি অর্ধেক পূর্ণ হয়ে যায়। আর মুল অনুষ্ঠান শুরু হতে হতে ৯টা বেজে যায়। সবার জন্যে ছিল সকালের নাস্তা আর নাস্তা খেয়েই সবাই মুল পর্বের অনুষ্ঠানে যোগদান করেছিল। শুরু হয় জাতীয় সঙ্গীতের মাধ্যমে। আমি ৮টায় গেটে পৌঁছে যাই তারপর ভেতরে প্রবেশ করি। বনমায়াতে যাই খাবার নিতে। এরপর ফুডকোর্টের ভেতরে যেয়ে বসে বসে খেতে থাকি, খাওয়া শেষ হলে যা যা বাকি ছিল আমি ব্যাগে রাখি কেননা আমি চেয়েছিলাম খাবার নষ্ট না করে আমার বাসায় ফিরে কুকুরগুলিকে খাওয়াতে। পশুপাখিদের প্রতি একটা মমতা কাজ করে আমার। খাওয়া শেষে আমি  এবি-১ এর সামনে যেয়ে কিছু ছবি তুলি। তখন ভার্সিটির মাঠ ভর্তি। সবাই ছবি তুলতেছিল। তারপর আমি অডিটোরিয়ামে প্রবেশ করি। কোনরকম একটি সিট পেয়ে বসে যাই। আর অনুষ্ঠান শুরু অপেক্ষা করি। অনুষ্ঠান এক সময় শুরু হয়ে যায় আর তারপর শিক্ষামন্ত্রী এসে টার আসন গ্রহণ করেন। প্রায় এক ঘণ্টা পড় আসে সেই বিশেষ মুহূর্ত। যার জন্যে সবাই অপেক্ষায় ছিলাম আমরা। আর তখন চারিদিকে উৎসবের আমেজ সৃষ্টি হয়। অনুষ্ঠানটি দুপুরে শেষ করে তারপর লাঞ্চ নিতে চলে যাই আবার সেই বনমায়াতে। সেখানে খাবার নিয়ে সেই ফুডকোর্টে আবার যাই। খেয়ে তারপর বের হই। চলে যাই এবি-৪ এর পাশে। কিছু সময় সেখানে ও আশেপাশে ছবি তুলি। ছবি তোলা শেষ হলে তারপর আমি আবার যাই অডিটোরিয়ামে। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান শুরু হয়ে যায় তখন। আমি কিছু সময় বসে ছিলাম তারপর উঠে যাই। বনমায়াতে কাটাই বাকিটা সময়। ডিনার নিয়ে তারপর বাড়ি ফিরি। অনেক সুন্দর একটি সময় ছিল আমার জন্যে। এটা ছিল আমার জন্যে জীবনের একটি বিশেষ দিন। চেষ্টা করেছি নিজেরমত করে দিনটি মনে রাখার মত করে মেমরি করে রাখতে। সকলের দোয়ায় আমি সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়ে বিএসসি গ্রাজুয়েট ডিগ্রি সম্পন্ন করতে সক্ষম হয়েছি।

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url