গল্প : ভূতুড়ে কলেজে আবির আর আরিক
আবির ও আরিক খুবই ভালো বন্ধু। তারা প্রতিদিন স্কুল ছুটির পর মাঠে ক্রিকেট খেলতে যায়। কিন্তু এখন তারা ওই মাঠে আর ক্রিকেট খেলতে পারবে না। আবিরের খুব মন খারাপ। 😞
হঠাৎ আরিক এসে বলল...
আরিক : আবির.. এই আবির। চল ক্রিকেট খেলতে যায়।
আবির : কোথায়.?
আরিক : জঙ্গলের ধারে একটা পুরোনো কলেজ আছে। ওখানে খেলব।
আবির : ( খুব খুশি হয়ে ) আচ্ছা চল।
আবির আর আরিক যেতে লাগল। জঙ্গলটা খুবই নিস্তব্ধ। আবির আর আরিকের গা ছমছম করছে তবুও তারা যাচ্ছে।
একসময় কলেজে পৌঁছে গেল আবির আর আরিক।
দু'জনই খুব খুশিতে ক্রিকেট খেলছে। হঠাৎ বলটা কলেজের ভিতরে ঢুকে গেল। আবির বল আনার জন্য কলেজের ভিতরে গেল। আবির বল খুজতে থাকল। কিন্তু পাচ্ছেনা।
আবির আরও ভেতরে যেতে থাকল।একসময় আবির কারও পায়ের শব্দ শুনতে পেল।আবির পেছনে তাকাল।
দেখল তাদের মতোই ২টা ছেলে এদিকে এগিয়ে আসছে। তবে ছেলেগুলো একটু অদ্ভুত। একজনের মাথার মাঝখান থেকে কাটা আর রক্ত গরিয়ে পড়ছে। আবির দেখে অনেক ভয় পেয়ে গেল। জোরে চিৎকার করল আবির।
এদিকে আবিরের চিৎকার শুনে আরিক দৌড়ে কলেজের ভিতরে গেল। ততক্ষণে আবির অজ্ঞান হয়ে মাটিতে পড়ে গেছে। আরিকও ওই ছেলেদের দেখে অনেক ভয় পেয়ে গেল। তারপর আরিকও অজ্ঞান হয়ে মাটিতে পড়ে গেল। তারপর থেকে তাদের আর কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি।
রিয়া তেমন ভালো ছাত্রী না। তাই সে কোনো ভালো কলেজে ভর্তি হওয়ার আশা করে না। কিন্তু রিয়ার বাবা-মা রিয়াকে খুব ভালো কলেজেই ভর্তি করাবে বলে তাদের ইচ্ছে। কিন্তু রিয়ার এসএসসির রেজাল্ট খুবই খারাপ। এই রেজাল্ট নিয়ে সে কোনো ভালো কলেজে ভর্তি হতে পারবে না।
একদিন রিয়া তার ফোনে দেখল তার বাড়ির পাশেই জঙ্গলের ধারে একটা কলেজ আছে। সেই কলেজে সবরকম স্টুডেন্টদের ভর্তি নেওয়া হয়। রিয়া তার বাবা-মাকে কলেজটার ব্যাপারে বলল। রিয়ার বাবা-মাও রিয়াকে ওই কলেজে ভর্তি করাতে রাজি।
পরদিন রিয়া ওই কলেজটার দিকে রওনা হলো। পথের মাঝে জঙ্গল দেখে রিয়া খুবই ভয় পেয়ে গেল। সে ভয়ে ভয়ে কলেজে পৌঁছে গেল। গিয়ে দেখল......
কলেজে কেউ নেই। অনেকখন পরে রিয়ার একটা মেয়ের সাথে দেখা হলো। কিন্তু রিয়া ওই মেয়েটাকে চিনে মেয়েটা আগুনে ঝাপ দিয়ে সুইসাইড করেছিল।
মেয়েটা বলল......
মেয়ে : তুমি এই কলেজে নতুন নাকি?
রিয়া : তু তু তুমি এখানে কি করছো। তুমি তো মরে গেছিলে তাই না
মেয়ে : আরে এসব কী বলছো তুমি
রিয়া : হ্যা আমি ঠিকই বলেছি। তোমার এসএসসির রেজাল্ট অনেক খারাপ হয়েছিল তাই তুমি আগুনে ঝাপ দিয়ে সুইসাইড করেছিলে।
মেয়ে : আারে না.৷ আমি এই কলেজে ভর্তি হয়েছি।
মেয়েটার সাথে কথা বলতে বলতে একটা Teacher আসল।
এসে বলল..
Teacher : তুমি এই কলেজে নতুন ভর্তি হবে?
রিয়া : আ.আ.আপনি এখানে কী করছেন আপনি তো মরে গেছিলেন 🤔
Teacher : এসব কী বলছো তুমি.... আমি এই কলেজের Teacher.
রিয়া : আপনি তো কোনো জায়গায় চাকরি পাচ্ছিলেন না তাই ট্রেনের নিচে ঝাপ দিয়ে সুইসাইড করেছিলেন।
রিয়া : না আমি এই কলেজে ভর্তি হবো না। আমি বাসায় যাবো।
Teacher রিয়ার হাতটা শক্ত করে ধরে বলল....... তোমাকে এই কলেজে ভর্তি হতেই হবে।
রিয়া অনেক কস্টে হাতটা ছাড়িয়ে বাড়ির দিকে দৌড় দিল।
যেতে যেতে রিয়ার একটা মেয়ের সাথে দেখা হলো।
মেয়ে : আচ্ছা তুমি কী ওই কলেজের দিকে গেছিলে। ওখানে কিছুদিন আগে আমার ছেলে আবির ও তার বন্ধু আরিক ক্রিকেট খেলতে গেছিলো তারপর থেকে আর ওরা ফেরত আসে নি।
রিয়া : ওটা একটা ভূতের কলেজ। ওখানে যারা থাকে তারা সবাই মরে গেছে।,,,, আর আপনিও হয়তো একটা অশরীরী।
মেয়ে : আরে না তুমি ভূল করছো। আমি মানুষ।
তারপর মেয়েটা তার হাত কেটে দেখাল। রিয়া দেখল মেয়েটার হাত থেকে রক্ত পড়ছে। তখন রিয়ার বিশ্বাস হলো মেয়েটা মানুষ।
তারপর রিয়া বাসায় গিয়ে সবাইকে সবকিছু খুলে বললো।
তারপর থেকে ওই জঙ্গল আর ওই কলেজে আর কেউ যায় না।।।।।
.......
Writer : Sunzida Simu