কলা খাওয়ার উপকারিতা ১২ টি জাদুকরী স্বাস্থ্য গুণ!

১. স্বাস্থ্য উপকারিতা কলাতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণের ক্যালোরী। তাই মাত্র একটি কলা খেলেই আপনাকে অনেক সময় পর্যন্ত শরীরে শক্তি যোগাবে।

২. অতিরিক্ত জ্বর কিংবা হঠাৎ ওজন কমে গেলে আমাদের শরীর দূর্বল হয়ে যায়। তখন কলা খেলে আমাদের শরীরে শক্তির সঞ্চার হবে এবং দ্রুত আপনার শরীরের দূর্বলতা কেটে যাবে।

৩. কলাতে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম আছে। তাই হাড়ের জন্যে কলা একটি উপকারী ফল।

৪. কলা অ্যান্টাসিডের মত কাজ করে। অর্থাৎ এটা হজমে সহায়তা করে এবং পেট ফাঁপার সমস্যা সমাধান করে। এছাড়াও কলা আমাদের পাকস্থলীতে ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়ার বৃদ্ধি রোধ করতে সহায়তা করে।

৫. কলায় প্রচুর আয়রন আছে যা আমাদের রক্তে হিমোগ্লোবিন তৈরিতে সাহায্য করে। ফলে যারা রক্ত শূন্যতায় ভুগছেন তাদের জন্য কলা ভীষণ উপকারী একটি ফল।

৬. যারা নিয়মিত বুক জ্বালাপোড়ার সমস্যায় ভুগছেন তাঁরা প্রতিদিন একটি করে কলা খেতে পারেন ভরা পেটে। কেননা এটা আমাদের বুক জ্বালা পোড়া কমায় এবং পাকস্থলীতে ক্ষতিকর এসিড হতে দেয় না।

৭. প্রায় দুই মিনিট ধরে কলার খোসা দাঁতের উপর ঘষলে এটি আমাদের দাঁতের উপরে থাকা ময়লা ও দাগ দূর করে দাঁতকে সাদা করে তুলবে। কলাতে রয়েছে মিনারেল ভরপুর আর সেই জন্যে কলার খোসা দাঁতকে সাদা ঝকঝকে করে তুলতে পারে।

৮. ডায়রিয়া হলে আমাদের শরীরে পানি শূন্যতা হয়ে যায় এবং দেহ থেকে প্রয়োজনীয় পটাশিয়াম বের হয়ে যায়। এসময়ে কলা খেলে শরীরের পটাশিয়ামের অভাব দূর হবে এবং আমাদের হার্টের স্বাভাবিক কার্যক্রমে ক্ষতিগ্রস্ত হবে না।

৯. কলায় ফ্যাটি এসিডের চেইন আছে যা আমাদের ত্বকের কোষের জন্য ভালো এবং আমাদের দেহকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। এছাড়াও এই ফ্যাটি এসিড চেইন পুষ্টি গ্রহণ করতেও সহায়তা করে।

১০. কলা মন ভালো করে দেয়। কলায় ট্রাইপটোফ্যান আছে যা সেরোটনিনে রূপান্তরিত হয়ে মন ভালো করে দিতে সহায়তা করে।

১১. কলায় প্রচুর পটাশিয়াম থাকে যা দেহের রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণের জন্য ভালো। তাই স্ট্রোক প্রতিরোধের জন্যেও কলা উপকারী।

১২. ধূমপান ছাড়তে হলে বেশি করে কলা খেতে পারেন। কেননা কলায় উপস্থিত ভিটামিন বি৬, বি১২, পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম দেহ হতে নিকোটিনের প্রভাব দূর করতে সহায়তা করে।

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url