গল্পঃ শেষটা সুন্দর

-বাসা থেকে বিয়ের চাপ দিচ্ছে..
-ভালোতো বিয়ে করে ফেলো..
-বিয়ে করে ফেলব?
-তুমি যেরকম হাসিমুখে বলছো বাসা থেকে বিয়ের চাপ দিচ্ছে তোমার কথায় মনে হচ্ছে বিয়ের চাপ দেওয়ায় যেন তুমি খুব আনন্দিত...
-হাহাহাহাহা (দুলে দুলে হাসতে লাগল রিহান)

আমার মেজাজ খারাপ হয়ে গেল দেখে,সারাজীবন দেখে আসলাম প্রেমিকার বাড়ি থেকে বিয়ের চাপ থাকে,প্রেমিক চিন্তায় থাকে না জানি কখন প্রেমিকার বিয়ে হয়ে যায়,আর আমার বেলায় হয়েছে উল্টোটা,আমার প্রেমিকের বাসা থেকে বিয়ের চাপ,আমার সারাক্ষণ চিন্তায় থাকা লাগে,আর চিন্তা থাকবে নাই বা কেন আমার প্রেমিক তো মা বাবার একান্ত বাধ্যগত ছেলে,তার মা বাবা যা বলে তার বিরুদ্ধে বলার সাধ্যি নেই তার,ঠিক নেই বেশী চাপাচাপি করলে বিয়ে করেও ফেলতে পারে,

-এমন বিশ্রী করে হেসো নাতো রিহান,
-ওমা তুমি রেগে গেলে কেন?
-তোমার হাসি অসহ্য লাগছে
-কেন?তুমি কি চাওনা আমি হাসিখুশি থাকি,তুমি কি চাও আমি দুঃখে থাকি?
-উফ,কথা পেচিয়ো নাতো,যাও বিয়ে করোগা,যাও
-তো আর করব বলো?তুমিতো করবানা,

দীর্ঘশ্বাস ফেললাম আমি,হ্যা এ কথা সত্য ৪ বছরের সম্পর্কে আমি কখনো তাকে কথা দিতে পারিনি যে আমি তাকে বিয়ে করব,বিয়ে নামক শব্দটা থেকে সবসময় পালিয়ে বেড়িয়েছি,এই শব্দটা আমার জীবনে একটা বিভীষিকা,বড় বিভীষিকা..

-চলো,কফি খাই
-খাবোনা
-তোমার প্রিয় কফিশপটায় যাবোতো
-বললাম না যাবোনা..
-এই মেয়ে তাকাও আমার দিকে,বলো যাবানা?
-অন্যের স্বামীর সাথে আমি কোথাও যাইনা...
-আগেই অন্যের স্বামী বলছো কেন?
-আজ না হয় কাল তো হবাই অন্যের স্বামী তাইনা?
-হাহাহাহা
রিহান আবারো দুলেদুলে হাসতে লাগল,
রিহানের হাসি আমার ভীষণ প্রিয় তবে মাঝেমধ্যে সে কেমন যেন বিশ্রীভাবে হাসে,হাসিভরা যেন আমার অনুভূতির প্রতি তাচ্ছিল্য দেখতে পাই,এই তাচ্ছিল্য আমার সহ্য হয়না,বিন্দুমাত্র সহ্য হয়না,
রিহান আমার এমন একজন যার থেকে আমার সবসময় শয়ে শ প্রায়োরিটি চাই,একটু কম পেলেই আমি সহ্য করতে পারিনা,অথচ এই রিহানকে একটা সময় দিনের পর দিন কতই না অবহেলা করেছি,সে কতই না পাগলামী করেছে আমার জন্য আমি তবুও তাকে ভালোবাসতে পারিনি,একটা খারাপ অতীত আমাকে ভালোবাসতে যেন বাধা দিত,সবসময় মনে হত আমি রিহানের যোগ্য না,তাই চেষ্টা করতাম দূরে থাকার কিন্তু পারিনি,কিসের টানে যেন জড়িয়ে গেছি ওর সাথে,প্রথমদিকে সম্পর্কটা কেমন ছিল জানিনা,ধীরেধীরে আমি ওর প্রতি দূর্বল হয়ে গেছি আর যখন বুঝতে শুরু করছি আমি রিহানকে ভালোবাসি ততদিনে হয়তো অনেক দেরী হয়ে গেছে,রিহান আমার থেকে দূরে সরতে শুরু করেছে,আমার প্রতি পাগলামো কমে গেছে,বুঝি আমি সবই বুঝি,তবুও কেন যেন পারিনা ওর থেকে দূরে থাকতে,

-এই শোনোনা অদিতী,চলো কাল তোমাকে বাসায় নিয়ে যাই,
-আমি যাবোনা
-কেন যাবেনা?
-গিয়ে কি হবে বলো?
-আম্মার সাথে দেখা করিয়ে দেব,৩ বছর ধরেই তো বলছি একদিন ও গেলেনা,
-ক্যানো যাবো?কোন মুখে যাবো?আমার মত একজনকে তোমার আম্মা পছন্দ করবে?
-ক্যানো করবেনা?
-ক্যানো করবেনা তুমি তা বেশ ভালোমতই জানো রিহান,আমি তোমার যোগ্য নই..

চোখের পানি আড়াল করে বাড়ি ফিরলাম কেমন যেন কষ্ট হচ্ছে,ইদানীং প্রায়ই মনে হয় রিহানকে হারিয়ে ফেলছি,,হঠাৎ ফোন বেজে উঠল,মায়ের ফোন,
ধরার পর মায়ের আবারো সেই একই ঘ্যানঘ্যানানি, কবে বিয়ে করবি,আর কত একা থাকবি,ব্লা ব্লা ব্লা,উফ অসহ্য বিরক্ত হয়ে ফোন কেটে দিলাম...

সাবস্ক্রাইব করুন:

সারাক্ষন মা শুধু বিয়ে বিয়ে করে,অসহ্য লাগে,একটা মানুষ কয়বার বিয়ে করে?করেছিলাম তো আমি বিয়ে,কি হয়েছিল?কি পেয়েছি?মা বাবার আদরে বড় হওয়া সেই আমি প্রতিনিয়ত মার খেয়েছি স্বামী নামের অমানুষটার কাছে,এতটা সহ্য করেছি জানিনা কেউ করে কিনা,দিনের পর দিন নেশায় বুদ হয়ে গায়ে হাত তোলা তার নিত্য ব্যাপার ছিল,তার অত্যাচারে আমার অনাগত সন্তান পৃথিবী থেকে বিদায় নিয়েছে পৃথিবীর আলো দেখার আগেই,মনে আছে সেদিন সে নেশাগ্রস্ত হয়ে বাড়ি ফিরে কি জঘন্যভাবেই না পেটে লাত্থি মেরে ছিল,কয়েক মিনিটে ঘর রক্তে একাকার হয়ে গেল,মরে গেল আমার বাচ্চাটা,বয়স তার ৫ মাস হয়েছিল,আমি দেখলাম তার ছোট্ট দেহটি যা ধীরে ধীরে বড় হচ্ছিল,হারালাম সন্তান এবং চিরতরে মা হওয়ার ক্ষমতা,তারপর?আর পারিনি থাকতে সেই অমানুষের সাথে,চলে আসি,নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান হওয়া যেন অভিশাপ ই ছিল আমার জন্য,এ কারণেই হয়তো এইচ.এসসির পরই আমাকে বাধ্য করা হয়েছিল বিয়ের পিড়িতে বসতে,দুই দুইটা বছর যখন নরক থেকে মুক্ত হলাম চারপাশ পারিপার্শ্বিকতা আমাকে জেকে বসলেও মা বাবা সাথে ছিল,তারপর শুরু করেছি আবারো নতুন করে,শেষ করেছি পড়াশোনা,নিজের পায়ে দাড়িয়েছি,সেই বিভীষিকার চলে গেছে ৭ টা বছর,কিন্তু আঘাত এত কড়া ছিল যে প্রতিনিয়ত যেন এখনো কষ্ট দেয়,তারপর ৪ বছর আগে জীবনে এলো রিহান বন্ধু হয়ে,বন্ধু থেকে প্রেম,যে প্রেমে ছিলনা কোন প্রতিশ্রুতি বা প্রতিজ্ঞা,আমার সমস্ত ক্লান্তি আমি দূর করি রিহানের সান্নিধ্যে,রিহান এর থেকে আমার চাওয়া পাওয়াও খুব বেশী নেই,জঘন্য একটা দুর্ঘটনার পর বিশ্বাস ভেংগে যায় মানুষের আমারো ভেংগেছিল,বিশ্বাস করতে পারিনি কাউকেই শুধু রিহান একমাত্র মানুষ যাকে আমি পারি বিশ্বাস করতে,
কিন্তু এর পরিনতি? কি হবে?আমার তো ভয় লাগে সংসার শুরু করতে,যতটুক সাহস পাই সব হারিয়ে যায় নিজের অক্ষমতার কথা ভেবে,
বাড়ির একমাত্র সন্তান রিহান,বড় আদরের ছেলে,রিহানের মায়ের চোখের মণি রিহান,তাছাড়াও রিহান টিপিক্যাল বাংগালি পরিবারের ছেলে,রিহানের মা সবসময়ই রিহানের জন্য খোজে রাজকুমারী, আমার মত মেয়েকে সে মেনে নেবেনা কখনোই যে কিনা ডিভোর্সি এবং যার কিনা মা হওয়ার ক্ষমতা নেই,আমি জানি রিহানকে আমি পাবোনা,কিন্তু দিনকে দিন কেন রিহানের প্রতি এত দূর্বল হচ্ছি জানিনা,আমি রিহানের যোগ্য নই,সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম রিহানের সাথে যোগাযোগ রাখব না,তা হলোনা এই চেষ্টা আমি বহুবার করেছি রিহান আমাকে খুজে বের করে ফেলে,
কিন্তু আশ্চর্যের ব্যাপার হলো,রিহান এখন এসব ব্যাপার তেমন খেয়াল করেনা,এখন আমাদের কম কথা হয়,ওর তাতে কোন অভিযোগ নেই,দেখা কম হয় তাতেও কোন অভিযোগ নেই,আমি জানি রিহানের বাসায় রিহানের বিয়ের কথা চলছে আর রিহান আমার থেকে দূরে সরে যাচ্ছে,অনেএএএএএএএএক দূরে,,

যাক ভালো কথা, রিহানকে সবসময় বুঝাতাম আমি আবেগ দিয়ে না বাস্তবতা দিয়ে ভাবো,অবশেষে রিহান বাস্তবতা দিয়ে ভাবছে,বুঝতে পারছে আমি তার যোগ্য নই,সে শিক্ষিত প্রতিষ্ঠিত ছেলে তার জন্য কত ভালো কেউ অপেক্ষা করছে,সে এখন সেই ভালো কাউকেই হয়তো খুজছে,এই রিহান কত আবেগী ছিল,তার আবেগ দেখে একটা সময় বিরক্ত হতাম অথচ তার রিয়েলিস্টিক আচার আচরণ দেখে আমি কষ্ট পাচ্ছি..

প্রায় তিনদিন ধরে রিহানের সাথে যোগাযোগ বন্ধ,
সারাদিন অনেক লস্ট থাকি,হঠাৎ ই রিহানের কল,বলল কাল সন্ধ্যায় আর্জেন্ট দেখা করো অদিতী,খবর আছে খবর দেখা হলে বলব,
সন্ধ্যা বেলায় বের হলাম,বুকটা কেমন যেন ফাকা ফাকা লাগছিল,বোধ হচ্ছিল এই বুঝি রিহান তার বিয়ের খবর শোনাবে,দাড়িয়ে আছি আমি প্রতীক্ষিত স্থানে,আধ ঘন্টা চলে গেল,রিহানের খবর নেই,এমন তো কখনো হয়না,রিহান আমাকে কখনো ৫ মিনিটের জন্য ও দাড় করায় না,রিহানকে আমি অনবরত ফোন দিচ্ছি,ধরছেনা,কেমন যেন চিন্তা হতে লাগল,রিহান কখনোই আমার কল রিজেক্ট করেনা,একাধিকবার ফোন দিচ্ছি আর রিহান ধরবেনা এটা সম্ভবই না,প্রায় ১ ঘন্টা কেটে গেল,কোনভাবেই রিহানকে যখন পাচ্ছিনা
"অদিতী" বলে ডাক দিয়ে পেছন থেকে হঠাত করেই রিহান সামনে এলো,আমি অগ্নিদৃষ্টিতে তাকিয়ে আছি ইহানের সাথে,অপেক্ষা আমার খুবই অপছন্দের বিষয়,খুবই,রিহান এটা জেনেও কিভাবে পারে ১ ঘন্টা আমাকে এভাবে দাড় করিয়ে রাখতে ফোন না ধরে টেনশন দিতে,যখনি কিছু বলতে যাব
রিহান একটা প্যাকেট হাতে দিয়ে বলল,এই সামনে একটা পার্লার আছে যাও ওখান থেকে এই শাড়িটা পড়ে আসো,শাড়ি ব্লাউজ সব আছে,
-মানেকি?
-মানে কি আবার?তোমার সাথে ক্যান্ডেল লাইট ডিনারের ইচ্ছা হচ্ছে খুব,আজ ক্যান্ডেল লাইট ডিনার করব,আমার খুব ইচ্ছা তুমি এই শাড়িটা পড়ো,প্লিজ প্লিজ,
-ধুর,রিহান,আবার পাগলামী,সমস্যা কি?
-এইটাই বিয়ের আগে আমাদের শেষ ক্যান্ডেল লাইট,একটু নাহয় পাগলামী করলাম,শেষবারের মত একটু সহ্য করবেনা?
-তোমার বিয়ে ঠিক হয়ে গেছে?
-হু
-বাহ,চমৎকার তো,
-শেষ অনুরোধ রাখবেনা অদিতী?
-হু,
চোখ ভিজে উঠছিল বার বার তবুও রিহানের শেষ অনুরোধ রাখতে পার্লারে গেলাম,শাড়ি পড়লাম,টুকটাক সাজগোজ ও করলাম,আফটার অল আমাদের শেষ ক্যান্ডেল লাইট ডিনার,
মেরুন রং এর দারুন একটা চুমকী শাড়ী,রিহান কখনোই ঠিক মত কিছু কিনতে পারেনা,এত দারুন শাড়ি কিনল কিভাবে কে জানে!

শাড়ি পড়ে রেডী হয়ে এসে দেখলাম রিহান সিএনজি নিয়ে দাড়িয়ে আছে,রিহান বলল"জলদি উঠো অদিতী আমি একটা বিশেষ রেস্টুরেন্টে সব বুক করে রেখেছি"
পৌছুতে ২০ মিনিট লাগল,২০ মিনিট যেন আমার কাছে ২০ ঘন্টার মত দীর্ঘ আর ভারীক্কি লাগছিল,সারারাস্তা রিহান চুপচাপ..কি ই বা বলার আছে আর?
আমার কেন এত খারাপ লাগছে?আচ্ছা আমি কি জানতাম না এসব?অবশ্যই জানতাম,তাহলে কেন কষ্ট পাচ্ছি,

ধীরপায়ে নামলাম সিএনজি থেকে,রিহান আমার হাত ধরে নিয়ে যাচ্ছে,আমার মনে হচ্ছিল যেন গায়ে জোর পাচ্ছিনা,রেস্টুরেন্টে ঢুকে চমকে গেলাম আমি,
আমার মা,বাবা,বড়ভাইয়া আর রিহানের আম্মু আব্বু ও ভাইবোনেরা,আমার কয়েকমিনিট লাগল বুঝত হচ্ছে কি!
রিহানের আম্মু আমাকে দেখার সাথে সাথে জড়িয়ে ধরে বলল"মাশাল্লাহ,পরী একটা"
আমি হতভম্ব হয়ে যাচ্ছি,মা বাবা ভাইয়া এরা কখন আসল কিভাবে কি কিছু বুঝতে পারছিনা,
রিহানের বাবা হেসে আমার বাবাকে বলল"বেয়াই সাহেব তাহলে দেরী না করে আংটি বদল করে ফেলি"
আমি রিহানের দিকে তাকালাম,রিহান হাসছে,
আচ্ছা তাহলে ৩ দিন যোগাযোগ শূন্য হওয়ার কারণ এই ছিল,আমি রিহানকে আড়ালে ডেকে নিয়ে বললাম -এসব কি হচ্ছে রিহান?
-যা দেখছো ঠিক তাই
-তোমার মা আমার অতীত সম্পর্কে ভালোভাবে জানেনা নিশ্চয়ই,তাইনা রিহান?"
-সবই জানেন উনি,
-তাহলে রাজি হলেন কি করে?
হঠাৎ ই রিহানের আম্মু এসে বলল

কিসব আজেবাজে কথা বলছো তুমি মেয়ে হ্যা?
কিসের অতীত?অতীত বলতে কিছু আছে নাকি,

আমি অবাক হয়ে গেলাম রিহানের টিপিক্যাল মায়ের মুখে এমন কথা শুনে,

কিন্তু আপনি হয়তো জানেন না আন্টি আমি কখনো মা হতে পারব না,আমার ক্ষমতা নেই সন্তান ধারন করার,

এই মেয়ে আন্টি বলছো কেন?মা বলার অভ্যাস করো আর তোমাকে কে বলেছে মা হতে হলে পেটে ধারন করতে হয়?মা হতে সন্তানের জন্ম দিতে হয়না,কথা বাড়িয়ো না,জলদি আসো,
রিহান মুচকি হেসে বলল"অন্যের স্বামী হচ্ছিনা কিন্তু,তোমার স্বামী ই হচ্ছি"

স্বপ্নের মতন লাগছে সব,পরিবারের উপস্থিতিতে আমাদের আকদ হয়ে গেল,বিয়ের ডেইট ঠিক হলো ৭ ই মে,দিন চারেক বাদে,আমি এখনো বিশ্বাস করতে পারছিনা,আমার শ্বাশুড়ি মা এবং মা মিলে মহানন্দে আমার বিয়ের শপিং করছে...

আজ ৭ মে আমি একই সাথে অনেক খুশি এবং একই সাথে অনেক ভীত,মনে হচ্ছে এটা কোন সুন্দর স্বপ্ন আর হঠাৎ ই ভেংগে যাবে,হঠাৎ করে আমার হবু শ্বাশুড়ির ফোন,
"মা রে,রিহানকে আমি অনেক ভালোবাসি মা,নিজের মা হওয়ার ক্ষমতা নেই,রাস্তার মাঝে কে যেন ফেলে চলে গেছিল ছেলেটাকে,ফুটফুটে সেই চেহারা দেখে আমার মনে হয়েছিল এইত আমার সন্তান,সেই থেকে রিহান আমার ছেলে,আমি ওরে পেটে ধরিনি মা,কিন্তু ও জানেনা সেটা,ও জানে আমিই তার মা,ছেলেটারে কখনো কষ্ট দেইনাই রে মা,ও তোমাকে অনেক ভালোবাসে,তুমি ওকে কষ্ট দিওনা কোন"

আমার গলা দিয়ে কথা বেরুচ্ছিল না কথা শুনে,
একই সাথে হাল্কা দুঃখবোধ আর স্বস্তি দুটোই যেন কাজ করছিল....

আমি এখন বউ সেজে বসে আছি,অপেক্ষা করছি রিহানের,কখন ও আসবে আর নিয়ে যাবে আমাকে,অপেক্ষা করছি আমার নতুন এক জীবনের,আজ অনেকদিন পর আমি ভীষণ খুশি,সত্যিই ভীষণ খুশি,লাল বেনারসিতে নিজেকে আয়নায় দেখে মনে হলো আমি বিশ্বের সবচাইতে সুন্দর কনে...

সাবস্ক্রাইব করুন:

লিখেছেনঃ মুনতাহা
Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url