আমাদের এলাকার পুকুর যেখানে চাচাতো ভাই মারা গেছেন ( রহস্য গল্প )
অনেক বছর আগে এই পুকুরে ভরদুপুর বেলা এক মহিলা গসল করতে আসেন। কোনো এই দুর্ঘটনা বসত সে সেই পুকুরে পরে মারা যান। তার এক্টা ছোট বাচ্চা ছিলো বুখের দুধ খেত। সেই মহিলার সামী মহিলাটাকে খুব ভালবাসতো। স্ত্রী মারা যাওয়ায় সে খুব কষ্ট পায় সাথে খুব চিন্তিত হয়ে পরে যে তার নবজাতক বাচ্চাটামায়ের দুধ না পেলে মারা যাবে।
তো এক্রাতে লোকটা সপ্নে দেখতে পায় তার মারা যাওয়া স্ত্রী তার কাছে এসে বলছে তুমি চিন্তা কর না আমাদের বাচ্চার কিচ্ছু হবে না তুমি প্রত্যেক রাতে পুকুরের ঘাটলায় এসে পড়বে বাচ্চাকে নিয়ে আমি তাকে দুধ খাইয়ে দিবো সে সারাদিন আর খাওয়ার জন্য কান্না করবে বাকি তাকে মানুষ করার দ্বায়িত্ব তুমার কিন্তু একটা শর্ত আছে আমার গায়ে কখনও স্পর্শ করতে পারবে না। যদি তা করো তাহলে আমি আর ফিরে আসবো না আর আমাদের বাচ্চা অনাহারে মারা যাবে আমি এইখানে আর কাওকে শান্তিতে থাকতে দিবো না প্রত্যেক বছর একটা মায়ের এক্টা ছেলে আমি নিয়ে চলে যাবো । এমন কিছু একটা দেখার পর লোকটার ঘুম ছুটে যায়।
সে পরের রাতে ঠিক তার সপ্নে সে যেভাবে দেখেছে তাই করলো গভীর রাতে সে তার বাচ্চাকে নিয়ে ঘাটলায় শুয়ে দিয়ে আসে আর ২০-৩০ মিনিট পর যেয়ে নিয়ে এসে পরে।
এমন করে অনেকদিন যায় কিন্তু লোকটার অ খুব কষ্ট হয় বউকে অনেক্টা ভালবাসে কিন্তু তার বউকে সে একবারও স্পর্শ করতে পারে না।তাই সে সেই ভুল করেই ফেললো.. না পেরে সে একদিন পিছন থেকে সেই অবয়বটা কে ছুয়ে ফেললো আর ওমনি সেই অবয়ব ওওকাহ্নেই অদৃশ্য হয়ে গেলো আর আম গাছে উপরে বসে কান্নার গলায় চিৎকার করে বলতে লাগলো, তোমার জন্য আজকে আমার বাচ্চা আমার থেকে বঞ্চিত হলো আমি আজকে থেকে প্রত্যক বছর কোনো না কোনো মায়ের বুক খালি করবো এই বলেই খুব ঝড়ের বেগে বাতাস হলো তারপর সব সাভাবিক হয়ে গেলো এর পর থেকে প্রত্যেক বছর নাকি শোনা যেতো কারো না কারো ছেলে ওই পুকুরে ডুবে মারা গেছে।
ঘটনার সত্যতা কতটুক তা জানা নেই কিন্তু সেই পুকুরেই আজ থেকে আরও ৮-১০ বছর আগে আমার চাচাতো ভাই সেই পুকুরে পরে মারা গেছেন। শুনেছি অনেক মানুষ নাকি ওই পুকুর ইংগিত করে সপ্ন দেখতো অনেকে পুকুর টা ভরাট করতে চেয়েছিল কিন্তু তাও পারে নি, তাদেরও অন্যদিকে অনেক সমস্যা হয়েছে তাই তারাও আর চেষ্টা করে নি।আর আল্লাহর রহমতে অনেকদিন যাবত এই সমস্যা গুকা আর নেই।
এই হচ্ছে ঘটনা এলাকার মানুষ দের কাছ থেকে শুনেছি দেখে আজকে শেয়ার করলাম।
বরাবর এর মতো বিশ্বাস করা না করা পুরোটা আপনার ব্যাপার।
লেখকঃ আরিফ